■ খেলাধুলা
খেলতে খেলতে রাজনীতিতে ঢোকা—এটা কোথাও দেখিনিঃ বুলবুলবাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নাম আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি। কালের কণ্ঠ মাল্টিমিডিয়ার নিয়মিত আয়োজন ‘অন অ্যান্ড অব দ্য ফিল্ড’ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে তিনি উন্মোচন করেছেন নানা পরিকল্পনা ও ব্যক্তিগত ভাবনার কথা।
অনুষ্ঠানে বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বাংলাদেশের ক্রিকেটের অতীত ও বর্তমান, এবং খেলোয়াড়দের ভূমিকা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন বুলবুল।
সঞ্চালক প্রশ্ন রাখেন, বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পাওয়াটা তার কাছে কাকতালীয় ঘটনা ছিল কি না। উত্তরে বুলবুল বলেন, ‘তিন মাস আগেও ভাবিনি আমি এই জায়গায় থাকব। ভাগ্য এমন এক বিষয়, যা আপনার পরিকল্পনার বাইরে এসে দাঁড়ায়। আল্লাহ মানুষকে যে দায়িত্ব দেন, তা আসলে এক ধরনের পরীক্ষা।
আমি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চাই।’
আলোচনায় উঠে আসে আলোচিত এক ইস্যু—জাতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া। মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের মতো তারকা খেলোয়াড়দের উদাহরণ টেনে প্রশ্ন করা হলে, বুলবুল তার অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি এই চর্চায় বিশ্বাসী নই। একজন জাতীয় দলে খেলোয়াড় যখন মাঠে নামে, সে পুরো জাতির প্রতিনিধি।
খেলতে খেলতে রাজনীতিতে ঢোকা—এটা কোথাও দেখিনি। এটা অনৈতিক। বিসিবির কন্ট্রাক্ট প্লেয়ারের এমনটা করা উচিত হয়নি।। বিসিবির চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়দের এমন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত ছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতিতে নামার পর খেলোয়াড়ের সমর্থন ও মনোযোগ বিভক্ত হয়ে পড়ে। রাজনীতি করতে হলে খেলা ছেড়ে তবেই করা উচিত। তাহলে প্রশ্ন তোলা হতো না।’
সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ কি না—এই প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বলেন,
‘আমরা কাউকে খেলতে বাধা দিতে পারি না। কেউ চিরকাল খেলে না। যেমন রোহিত-কোহলিও বিদায় নিয়েছে। তবে খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামতে চাইলে, তাকে অ্যাভেইলেবল থাকতে হবে। তার যে অন্যান্য সমস্যা যেগুলো আছে এটা তো ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট নয়। আমরা কেবল ক্রিকেট নিয়ে কাজ করব, বাইরের বিষয়ে নয়।’
মন্তব্য করুন