স্টাপ রিপোর্ট
১৮ জুন ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য গুলশানে বাড়ি প্রস্তুত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে রাজধানীর গুলশানে এভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন। তিন বেড, ড্রয়িং, ডাইনিং, লিভিং রুম, সুইমিং পুলসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ওই বাড়িতে।

বিচারপতি আবদুস সাত্তার সরকারের সময় দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত বাড়িটি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এত বছর বাড়িটি তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নামজারি করা ছিল না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৪ জুন বাড়িটির নামজারির কাগজ খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেন।

আগে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) এ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ছয় মাস আগে তিনি বাড়িটি ছেড়ে দেন। এরপরই তারেক রহমান থাকার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাড়িটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে দেশে ফিরবেন ১৭ বছর ধরে লন্ডনে থাকা বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

গুলশান–২ গোলচক্কর পেরিয়ে এভিনিউর শেষ মাথায় ১৯৬ নম্বর বাড়ি। মঙ্গলবার গিয়ে দেখা যায়, সাদা রঙের দোতলা বাড়িটির বহিরাঙ্গন ও ভেতরটাও বেশ পরিপাটি করে সাজানো। তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানও লন্ডনে যাওয়ার আগে বাড়িটি পরিদর্শন করে গেছেন। বাড়িতে মূল ভবন, সুইমিং পুল ছাড়াও সামনে অনেক খোলা জায়গা রয়েছে। ‘ফিরোজা’ নামে যে বাসায় খালেদা জিয়া ভাড়া থাকেন, এটি তার সঙ্গে লাগোয়া।

গুলশানের এ বাড়ি ছাড়াও ১৯৮১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সেনানিবাসে প্রায় ৯ বিঘা (২ দশমিক ৭২ একর) জমির ওপর নির্মিত আরেকটি বাড়ি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য প্রথমে নোটিশ, পরে আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শহীদ মঈনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর খালেদা জিয়া কিছুদিন ভাই শামীম এস্কান্দারের বাড়িতে ছিলেন। ২০১২ সালে ২১ এপ্রিল ‘ফিরোজা’য় উঠেন তিনি।

ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান তিনি। তখন থেকেই সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক রহমান। লন্ডনে থাকাকালে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তারেক রহমান।

তথ্য সুত্রঃ সমকাল

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাম্প ইসরায়লের হুমকির পর ভয়াবহ হামলা ইরানের, এবার আরো কঠিন হুমকি

বিলে সই না করায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

ইসরাইলের হামলায় গুঁড়িয়ে গেছে তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তার বাসা

সিরাজগঞ্জে জামায়াতের কর্মীসভায় ছাত্রলীগ নেতা, ছবি ভাইরাল

আয়াতুল্লাহ খামেনির অবস্থান শনাক্ত, তবে এখনই হত্যা নয়: ট্রাম্প

ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য গুলশানে বাড়ি প্রস্তুত

দেশরক্ষায় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল শাওনের

জীবনের দর্শন বদলে দিচ্ছে মেহজাবীনের ‘ক্ষতিপূরণ’

ভারতে মডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার, প্রেমিক আটক

১০

বিগ ব্যাশের ড্রাফটে মুস্তাফিজ-রিশাদসহ ১১ বাংলাদেশি

১১

টঙ্গী হাজীর মাজার বস্তিতে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৪

১২

আ.লীগ নেতা সাইফুলের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক

১৩

প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফর ‘অত্যন্ত সফল হয়েছে’: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১৪

ইরান-ইসরাইল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রাশিয়া

১৫

এস আলমের ১৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা মূল্যের ২০০ একর জমি জব্দের আদেশ

১৬

বৈঠকে যোগ দেয়নি জামায়াত, ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনে বাকি দলগুলোর ঐক্য

১৭

ইরানে বর্বর ইসরায়েল এর হামলা কেন ?

১৮

ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিনাল অফেন্সের’ অভিযোগ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের

১৯

জাফলংয়ে বিএনপি নেতাদের রাজত্ব

২০