স্টাপ রিপোর্ট
৮ জুন ২০২৫, ৯:১১ অপরাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে অথই সমুদ্রে জাকিরের মা

ছবিঃ আমার দেশ

জুলাই বিপ্লবের উত্তাল সময়ে নারায়ণগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন জাকির হোসেন। ২১ জুলাই বিকেলে কাজে যাওয়ার সময় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর ছোড়া গুলিতে শহীদ হন তিনি। পরে তার সহকর্মীরা লাশ নিয়ে আসেন রাজধানীর বাড্ডায়, জাকিরের মায়ের কাছে। পরদিন গ্রামের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়।

শহীদ জাকির হোসেনের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পূর্ব বাকলজোড়া গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত ফজলু মিয়া ও মিছিলি বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান তিনি। তবে সেই ‘সবেধন নীলমণি’ জাকিরকে হারিয়ে নিঃস্ব জাকিরের মা।

জানতে চাইলে মিছিলি বেগম আমার দেশকে জানান, রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। ঘটনার আগের দিন ওয়াসার পানির লাইন মেরামতের কাজে চিটাগাংরোড এলাকায় যান জাকির। কাজ শেষে আন্দোলন আর কারফিউয়ের কারণে বাড্ডায় মায়ের কাছে ফেরা হয়নি তার। তবে সে না ফেরাটাই যে তার অনন্তকালের জন্য চলে যাওয়া সেটা হয়তো জানতেন না মিছিলি বেগম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জাকিরের উপার্জনে কেনা জমিতেই কবর দেওয়া হয়েছে তাকে। এর এক পাশেই একটি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ঘরে থাকবেন তার মা এতদিন গৃহহীন থাকা মিছিলি বেগম। ঘরের কাজ প্রায় ৭০ ভাগের মতো শেষ হয়েছে, জাকিরের কবরের পাশেই বাঁশের বেড়া ধরে দাঁড়িয়ে আছেন মা; ভাবছেন ছেলের রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলো।

মিছিলি বেগম বলেন, ‘ছোট সময় ঢাকা গেছিগা, কষ্ট করছি অনেক। ছেলেও বড় হয়ে টাকা কামাইয়া সব কষ্ট দূর করে দিছিল। কিন্তু এভাবে সব কিছুই শেষ হয়ে যাবে ভাবছি না। অ্যাহন ঘর অইলেই কি, না অইলেই কি? আমার বিলাসিতা সবই শেষ। স্বপ্ন আছিলো বড় ঘর তুলে, ছেলেরে বিয়ে করিয়ে বউ আনমু, কিন্তু কিছুই অইলো না আমার। সবকিছুই শেষ। এখন কোনোভাবে বাঁইচা আছি আরকি।’

এদিকে জাকিরের উপার্জনে কেনা জায়গা থাকলেও তার মায়ের থাকার মতো নিজেদের কোনো ঘর ছিল না এতদিন। রাতে থাকতে হতো আশপাশের কিংবা স্বজনদের বাড়িতে। বর্তমানে তাকে সমাজকল্যাণ পরিষদের বরাদ্দের টাকায় একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, জাকিরের মায়ের নিকটতম আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই। থাকার মতো ঘরও ছিল না। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানোর পরে তাকে একটি ঘর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত মাস থেকে এই ঘর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঘরটি আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দিতে পারব।

তথ্য সুত্রঃ আমার দেশ 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিলেটে এবার বন্যায় ম্লান ঈদের আনন্দ

ঈদের দ্বিতীয় দিনে গাজায় ২২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

শিল্পাঞ্চল থেকে ৩৩৫ দুষ্কৃতকারী গ্রেপ্তার: আইএসপিআর

আদানির সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের চুক্তি বাতিল

জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে কি মানুষ মোটা হয়?

ভারত-পাকিস্তান মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া নির্বাচনের সময় ‘এপ্রিল ফুল’

আনন্দবাজারে ওবায়দুল কাদেরের সাক্ষাৎকার, জানালেন নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা

সরকারি দামেও বিক্রি হচ্ছে না চামড়া

গুম কমিশনের সদস্যদের হুমকি-কাজে বাধা, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা

১০

ঈদের ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

১১

বিদায়ের আগে সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে দেশবাসীকে ঈদ উপহার দিতে চান কাবরেরা

১২

ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বাসদও

১৩

ভারতে করোনায় একদিনে ৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৭৮

১৪

জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ বাস্তবায়নের পর নির্বাচন হলে প্রত্যাশা পূরণ হতো: আখতার

১৫

একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে অথই সমুদ্রে জাকিরের মা

১৬

আল্লাহর সৃষ্টির বিশালতার কথা ভেবে কেঁদেছিঃ কনক চাঁপা

১৭

ভারতে করোনার আবির্ভাব, দেশের সব বন্দরে সতর্কতা জারি

১৮

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা কেউ করবেন না: জামায়াতের আমির

১৯

ঢাকায় পৌছালো সিঙ্গাপুর ফুটবল দল

২০