আদম (আ.)-এর দুই ছেলে হাবিল ও কাবিল উভয়েই কোরবানি প্রদান করেছিলেন। তাদের মধ্যে একজনের কোরবানি আল্লাহর কাছে কবুল হয়েছে, অপরজনের কোরবানি কবুল হয়নি। পৃথিবীতে কোরবানির ইতিহাস এখান থেকেই শুরু হয়। কোরবানি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিধান রয়েছে। ইসলামি আলোচক আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ কোরবানি সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, কোরবানির পশুতে সাত ভাগের এক ভাগের টাকা দুই ভাই মিলে কোরবানি করলে তা সহিহ হবে না। কারণ এখানে এক ভাগে একাধিক ব্যক্তি শরিক হচ্ছে। একাধিক ব্যক্তি এক ভাগে শরিক হলে কোরবানি বিশুদ্ধ হয় না (আদদুররুল মুহতার ৯/৪৫৭)।
এটি জায়েজ হওয়ার একটি শর্ত হলো, তাদের মধ্যে একজন অপরজনকে তার টাকার মালিক বানিয়ে দেবে। এরপর তিনি নিজের পক্ষ থেকে কোরবানি করবেন, তাহলে কোরবানি বিশুদ্ধ হবে।
এছাড়া, হাদিসে হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন, ‘আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে হজের ইহরাম বেঁধে রওনা হলাম। এরপর তিনি উট ও গরুতে আমাদের মধ্যে সাতজন করে শরিক হওয়ার (কোরবানি করার) নির্দেশ দিলেন’ (সহিহ মুসলিম ১৩১৮, ৩০৪৯)।
একান্নবর্তী পরিবারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির ওপর কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার শর্ত পূরণ হলে, অর্থাৎ তাদের কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে, তাদের প্রত্যেকের ওপর ভিন্ন ভিন্ন কোরবানি ওয়াজিব। পরিবারের যত সদস্যের ওপর কোরবানি ওয়াজিব, তাদের প্রত্যেককেই একটি করে পশু কোরবানি করতে হবে অথবা বড় পশুতে পৃথক পৃথক অংশ দিতে হবে। একটি কোরবানি সবার জন্য যথেষ্ট হবে না।
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলংকার, বর্তমানে বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন নেই এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য এবং অপ্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
মন্তব্য করুন