জুলাই আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলায় মুক্তিযোদ্ধা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক এসএম আনোয়ারা বেগমের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। সেইসাথে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন, সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একেএম মাহমুদুল কবির আনোয়ারা বেগমের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আনোয়ারা বেগম একজন এফআইআর-এর নামযুক্ত আসামি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা যাচাই করা হচ্ছে। যদি তিনি জামিন পান, তাহলে তিনি চিরতরে পালিয়ে যাবেন। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
আনোয়ারা বেগমের জামিন আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ওবাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না এবং কেবল তাকে হয়রানির জন্যই তাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাই মানবিক কারণে তাকে জামিন দেয়া উচিত।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ম্যাজিস্ট্রেট আসামিপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন এবং তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্টার হোটেলের সামনে সুজন মোল্লার চোখে গুলি লাগে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সুজন মোল্লা বাদী হয়ে ১৯২ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ আছে স্বৈরাচার আমলে বিসিএস এর ভাইবায় ছাত্রলীগ ছাড়া কোন ছাত্রছাত্রীকে পাশ হওয়ার সুযোগ দিতেন না অধ্যাপিকা।
মন্তব্য করুন