দিল্লি ক্যাপিটালসের কাজটা অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্লে-অফের দৌড়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রতিপক্ষ ছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এদের মাঝে লখনৌকে হারিয়ে তাদের সব আশা মাটি করে দিয়েছে হায়দরাবাদ। যে কারণে অন্তত এক প্রতিপক্ষ থেকে মুক্তি মিলেছে মুস্তাফিজুর রহমানের দলের।
তবে বড় প্রতিপক্ষ এখন সামনেই। আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবারে তাদের পরীক্ষা নেবে। মুম্বাইয়ের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাদেরই হারানোর কঠিন মিশনে নামতে হচ্ছে দিল্লি ক্যাপিটালসকে। তবে কাজটা কঠিন হলেও এছাড়া বিকল্প থাকছে না দিল্লির সামনে। এই ম্যাচে হারলেই যে আরও একটা আসরে শিরোপার লড়াই থেকে প্লে-অফের আগে ছিটকে যাবে দিল্লি ক্যাপিটালস।
প্লে-অফে উঠতে হলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে আজ জিততেই হবে। তাদের জন্য সমীকরণ খানিক জটিল। বাকি থাকা দুই ম্যাচেই জিততে হবে। তবে আজ হেরে গেলেও থাকবে সুযোগ। সেজন্য নিজেদের পরের ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে জিততে হবে। আবার মুম্বাই যেন পাঞ্জাবের কাছে হেরে বসে, সেই প্রার্থনাও করতে হবে। এরপর আসবে রানরেটের হিসেব।
আর মুম্বাই আজকের ম্যাচ জিতলেই চলে যাবে প্লে-অফে। আজ হেরে গেলে অবশ্য পরের ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে জিততে হবে তাদের। সঙ্গে পরের ম্যাচে দিল্লির হার কামনা করতে হবে তাদের।
এমন এক বড় ম্যাচে দিল্লি স্কোয়াডে খুব বড় জটিলতা নেই। মিচেল স্টার্ক দল থেকে বিদায় নিয়ে অবশ্য বোলিং বিভাগকে খানিক নাজুক অবস্থায় রেখে গিয়েছেন। শেষ ম্যাচে গুজরাটের বিপক্ষে ১৯৯ রান তুলেও জিততে পারেনি তারা। এর পেছনে বোলিং বিভাগের ব্যর্থতার দায়টাই বেশি।
অবশ্য ব্যতিক্রম ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩ ওভারে ২৪ রান দিলেও দলের সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল বোলার ছিলেন তিনিই। বাঁহাতি পেসারের অভাব পূরণ করতেই তাকে দলে টেনেছিল দিল্লি। স্টার্কের বদলে মুস্তাফিজের কাছ থেকে উইকেটের প্রত্যাশা তাই থাকবে দিল্লির। গত ম্যাচে উইকেট পাননি। এছাড়া ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম বরাবরই রানপ্রসবা। তাই কিছুটা চাপ হয়ত থাকবে ফিজের ওপরে।
ধারণা করা হচ্ছে, আজকের ম্যাচেও নাটারজন, দুশমান্থ চামিরার সঙ্গে পেস বিভাগে থাকবেন মুস্তাফিজ। ভিপরাজ নিগাম, অক্ষর প্যাটেল আর কুলদীপ যাদবরা থাকবেন স্পিন বিভাগ সামাল দিতে।
মন্তব্য করুন