দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, যেখানে বসবাসরত প্রায় ১০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা পর্যটন নির্ভর। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় পর্যটকদের যাতায়াত সীমিত করার পর থেকে পাল্টে গেছে দ্বীপটির চিত্র।
স্থানীয়দের দাবি, পর্যটক আগমন সীমিত করায় সবারই উপার্জন কমেছে। বিকল্প পথ ছিল সাগরে মাছ ধরা, তাও এখন বন্ধ। তাই অপরাধে মাত্রাও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে প্রতিদিন কারও না কারও গরু, ছাগল, সৌরবিদ্যুতের সোলার, অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি হচ্ছে। সেইসাথে সন্ধ্যার পর বসছে জুয়ার আসর। আর এতে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে, যা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তারা।
স্থানীয় একজন বলেন, এখন কোনও কাজ নেই। মানুষ বেকার হয়ে গেছে। কেউ চুরি করছে, কেউ জুয়া খেলছে, কেউ নেশা করছে। এই হল বর্তমান অবস্থা। আরেক বাসিন্দা বলেন, স্থানীয়ভাবে অপরাধের বিচার করতে গেলে পরে হামলার আশঙ্কা থাকে। এসব কারণেই মূলত অপরাধ কর্মকাণ্ড থামানো যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক অজিত কুমার দাস বলেন, পুলিশি টহল সবসময় নিয়োজিত আছে। চুরির বিষয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। এ সময়, অভিযোগ পেলে অইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন